বয়স যেন একটা সংখ্যা মাত্র। ৩৫ পার করা নাঈম ইসলাম অনায়াসে কথাটি বলতেই পারেন। চলতি ডিপিএলই দেখুন না। জাতীয় দলের সাবেক এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ১০ ম্যাচে ৮৪ গড়ে রান করেছেন ৭৪৯। এমন পারফর্মেন্সে নির্বাচকদের দিয়ে রাখলেন একটা বার্তাও।
একই কথা খাটে বিজয়ের ক্ষেত্রেও। সমান ম্যাচে ৭৩ গড়ে বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৭২৮। জাকির, সাইফ, মোসাদ্দেক, অমিত কিংবা মেহেদী মারুফ, চলতি ডিপিএলে সবাই বইয়েছেন রানের ফোয়ারা। কিন্তু সবার গল্প কিংবা লক্ষ্যটা এক নয়।
দু-একটা স্লট ছাড়া টাইগারদের ওয়ানডে স্কোয়াড অনেকটাই চূড়ান্ত। তাইতো ডিপিএলের পারফর্মারদের জায়গা মিলতে পারে ‘এ’ দলে। জুনে ক্যারিবিয়ান সিরিজে জাতীয় দলের সঙ্গে যাবে এ’ দলও। তবে সেই স্কোয়াডেও বিবেচনায় আসবে অনেক কিছু।
বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, সামনে একটা ‘এ’ দলের ট্যুর আছে। সেখানে উদীয়মান পারফর্মারদের বিষয়ে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তারা নিজেদের কতটুকু প্রস্তুত করতে পেরেছে। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক ধরনের খেলা হয়। বিকেএসপির উইকেটটা আমরা সবাই জানি। এর সঙ্গে অন্য দেশের উইকেট মেলানো যাবে না। তো সে বিষয়টা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে যে ক্রিকেটারদের নিয়ে আগাতে পারব, তাদেরকেই সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করব।
মৃত্যুঞ্জয়, কাজী অনিক, শফিকুল, মেহেদী রানাসহ এবারের ডিপিএলে তরুণ পেসারাও কেড়েছেন দৃষ্টি। তবুও এ দলে যাদের জায়গা মিলবে না। তাদের নিয়ে কক্সবাজারে বিশেষ ক্যাম্প করবে বিসিবি।
নান্নু বলেন, লীগের সব খেলোয়াড়কেই আমরা মনিটরিং করছি। এইচপি এবং এ দলের প্রোগ্রাম একসঙ্গেই শুরু হবে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা দুটি দলই তৈরি করে ফেলব।
চলতি লিগে বিগ বাজেটের দলগুলোর পাশাপাশি চমক দেখিয়েছে অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোও। দেশের ক্রিকেটের জন্য যা ইতিবাচক বলছেন নান্নু।
বিসিবির প্রধান নির্বাচক জানান, লীগে প্রতিটি খেলাই যথেষ্ট ভালো হয়েছে। এর ফলে খেলোয়াড়দের মাঝে একটা মানসিক পরিবর্তন আসে। জেতার আগ্রহটা সবার মধ্যেই থাকে। সেই সঙ্গে সৌম্য, মিথুন, ইমরুলসহ যারা ডিপিএলে ব্যর্থ, ‘এ’ দলের হয়ে তাদের আরেকটা সুযোগ দেওয়ার পক্ষে তিনি।